মুনিয়ার মামা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এ মরণব্যাধি থেকে সুস্থতার জন্য জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরীক্ষা শেষে মুনিরা মামাকে দেখার জন্য রওনা হয়। পথিমধ্যে কিছু বখাটে যুবক বাজে অঙ্গভঙ্গি ও অশ্লীল মন্তব্যের মাধ্যমে তাকে বিরক্ত করে। পাশেই কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি লক্ষ্য করে এগিয়ে আসেন। পুলিশ দেখে বখাটে যুবকরা পালিয়ে যায়।
ফয়জুর রহমান ও মোরশেদ জামান ব্রিটিশ শাসিত 8 ভারতবর্ষের দু'জন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। ফয়জুর রহমানকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলে অভিহিত করা হয়। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও উন্নত বাচনভঙ্গির অধিকারী ফয়জুর রহমান মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও ছিলেন। অন্যদিকে, কৃষকদরদী নেতা মোরশেদ জামান ব্রিটিশ ভারতের উপেক্ষিত মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পেশ করেন। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হয়।
ভারতবর্ষের শাসনতান্ত্রিক জটিলতার নিরসনকল্পে ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯১৯ সালে প্রাদেশিক শাসন সংক্রান্ত বিষয়কে দুভাগে বিভক্ত করে পরিচালনা করেন। এখানে প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ছিল মূলত গভর্নরের হাতে। ১৯৩৫ সালে আবার তা বাতিল করে প্রদেশের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এ আইনে প্রাদেশিক আইনসভার সর্বময় কর্তৃত্বের কথা বলা হলেও বাস্তবে গভর্নর জেনারেল, ভারত সচিব এবং প্রাদেশিক গভর্নরের প্রাধান্য বিদ্যমান ছিল।
মালিহার দেশটি স্বাধীনতার আট বছর পরে একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়। সংবিধানে নাগরিকদের কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও জনগণের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। বিনা কারণেই জনগণকে গ্রেফতার করা হয়। জনগণের ভোটাধিকারসহ সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
জনপ্রিয় মহান নেতা ফজলে এলাহীর দল দেশের জাতীয় আলোচনা কর। পরিষদ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন। লাভ করে। ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে তাকে গ্রেফতার করে এবং নিরীহ দেশবাসীর উপর অতর্কিত হামলা করে। স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে বীর জাতি স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনে।
মহান নেতা সমশের মুবিন জাতিকে স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এজন্য তাকে প্রায়ই কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৬৮ সালে স্বৈরাচারী শাসক তাঁকেসহ আরো ৩৪ জন সামরিক- বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে এবং তাকে গ্রেফতার করে। এ প্রহসনমূলক মামলার বিরুদ্ধে বীর জাতি রুখে দাঁড়ায় এবং ক্ষোভে জ্বলে উঠে। প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে অবশেষে স্বৈরাচারী শাসক সমশের মুবিনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব রাইসুল ইসলাম শ্রেণিকক্ষে আমাদের সংবিধানের সংশোধনীসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন যে, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু ১৯১৯ সালে আবার আরেকটি সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত সরকার পদ্ধতির পরিবর্তে বর্তমান সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, সংশোধনী ছিল জনগণের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।